প্রকাশিত: Sat, Apr 29, 2023 5:49 PM
আপডেট: Tue, Jul 1, 2025 3:23 PM

পটুয়াখালীর দুমকিতে জরাজীর্র্ণ ভবনে পাঠদান

আতিকুল আলম সোহেল :  জেলার দুমকিতে জলিশা সরকারি প্রাথমিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জরাজীর্র্ণ ভবনে নেয়া হচ্ছে পাঠ্যদান। মেঝেতে খুলে  পড়েছে ফ্যানও। 

জানা যায়, ২৮ শতক ভূমির ওপর ১৯৭৫ সালে দুমকির ৫৩নং পশ্চিম জলিশা সরকারি প্রাথমিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠা পরে ১৯৯৪ সালে এলজিআরডি’র সহায়তায় বিদ্যালয়টি পুননির্মাণ করা হলেও কাজের মান নিম্ন হওয়ায় ২৯ বছর যেতে না যেতেই বেহাল দশা হয়ে হয়েছে। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বীমের পলেস্তারা খসে পড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এছাড়াও ভবনের বিভিন্ন কক্ষ, বারান্দা, সিঁড়ি ও ভবনের বাহিরে বিভিন্ন স্থানে পলেস্তারা খসে পড়ে গেছে।বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রায়ই তাদের শ্রেণিকক্ষের ছাদের পলেস্তারা খসে গায়ের ওপর পড়ে। তারা ঝুঁকি নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে ক্লাস করার কারণে পাঠদানে মনোযোগ দিতে পারছে না। দ্রুত তাদের বিদ্যালয়ে একটি অত্যাধুনিক নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানায়। 

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দলিল উদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে তিনি প্রথম শ্রেণিতে পাঠদান করাচ্ছিলেন। হঠাৎ ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে। এতে খুদে শিক্ষার্থীরা ভয়ে চিৎকার শুরু করে।

 সহকারী শিক্ষক কবিতা রানী বলেন, বিদ্যালয়ের নতুন ভবন, শ্রেণিকক্ষসহ পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা বাড়লে শিক্ষার মান আরও ভালো হবে। সীমানা প্রাচীর না থাকায় শিক্ষার্থীরা ঝুঁকিতে আছে। প্রধান শিক্ষক হোসনেয়ারা বেগম বেগম জানান, বৃহস্পতিবার প্রথম শ্রেণির কক্ষে পাঠদানের সময় পলেস্তারা খসে পড়ার ঘটনাটি তিনি তাৎক্ষণিক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবগত করেছেন। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিশুদের পাঠদান করাচ্ছেন। জরুরি ভিত্তিতে জমি সংক্রান্ত জটিলতা দূর করে  বিদ্যালয়ের ভবনসহ বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের দাবি জানান তিনি। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. কাজী মনিরুজ্জামান রিপন বলেন, বিদ্যালয়ের জীর্ণশীর্ণ ভবনের ছবি সংশ্নিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। অধিদপ্তর থেকে বরাদ্দ পেলে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে।